Fazlur rahman babu, ফজলুর রহমান বাবু
ফজলুর রহমান বাবু একাধারে অভিনেতা ও গায়ক হিসেবে সুপরিচিত একজন মানুষ। তার ডাক নাম বাবু। তিনি এপর্যন্ত একশতেরও বেশি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও বেশ কিছু টেলিভিশন বিঞ্জাপণ ও  বাংলা সিনেমাতেও তার পদচাড়না রয়েছে।
জন্মঃ বাবু জন্মেছেন ফরিদপুর জেলায় ১৯৬০ সালের ১৪ জুলাই তারিখে। ছোটবেলার বেশিরভাগ সময় তিনি ফরিদপুরেই কাটিয়েছেন।
কর্ম জীবনঃ ১৯৭৮ সালে ফরিদপুরের টাউন থিয়েটার এবং পরবর্তিতে ‘বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠী’ এর সাথে যোগদানের মধ্য দিয়ে তিনি তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। ওই একই বছরে বাবু প্রথমবারের মত ‘ন্যাশনাল ড্রামা ফেস্টিভাল’ –এ অভিনয় করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে তিনি অগ্রণী ব্যাংক এ চাকরি নেন এবং ঢাকায় বদলি হয়ে চলে আসেন। ঢাকায় এসে তিনি ‘আরন্যক’ নাট্যদলে যোগ দেন। এই থিয়েটারে তিনি বেশ কিছু মঞ্চ নাটক করেন যেমন, ণানকার পালা, পাথর, এবং ময়ূর সিংহাসন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকঃ
১। সাত পুরুষের ঋণ
২। ইবলিশ
৩। সমতর
৪। কুরিওলেনাস
৫। অববাহিকা
৬। খেলাঘর
৭। প্রাকৃতজন
৮। জয় জয়ন্তি
৯। ময়ূর সিংহাসন
মঞ্চ নাটকের পাশাপাশি বেশ কিছু পথনাটকও করেছেন এই বহু গুণে গুণান্নিত শিল্পী। উল্লেখযোগ্যগুলো হলঃ
১। ফেরারী নিশান
২। ক্ষুদীরামের দেশে
৩। শেকল
৪। নীল
মুক্ত নাটকেও শতস্ফূর্ত অংশগ্রহন ছিল ফজলুর রহমানের। এই নাটকের ধারনাটা একটু অন্যরকম। তারা নাট্য দল নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে যেতেন, এরপর গ্রামেরই কোন একটি ঘটনাকে নাটকের বিষয় বস্তু করা হত। তারপর, নাট্য দলের নির্দেশনায় গ্রামবাসীদের দিয়ে করানো হত সেই নাটক।
বাবু তার টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘মৃত্যু ক্ষুধা (১৯৯১)’ নাটক দিয়ে, যা বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলঃ
১। ইতিকথা (১৯৯১)
২। সুন্দরী
৩। দানব
৪। আদুভাই
৫। পাপ-পুণ্য
৬। ভয়
৭। সংশয়
৮। ৫১’বর্তী
৯। 69
১০। দৈনিক তোলপাড়
১১। রঙের মানুষ
১২। ঘরকুটুম
১৩। ব্যস্ত ডাক্তার
১৪। ঘটক পাখিভাই
১৫। প্রজাপতি কাল
১৬। তেভাগা
১৭। হাটকুড়া
১৮। পাঞ্জাবীওয়ালা
১৯। খোঁড়া
২০। স্বরবর্ণ থিয়েটার
বাবুর অভিনীত বর্তমানে যেসব নাটকের কাজ চলছেঃ
১। অলসপুর
২। পাথরের কান্না
৩। কবুলিয়তনামা
৪। নিশিগন্ধা
৫। চুপিচুপি
ফজলুর রাহমান বাবুর অভিনীত বাংলা সিনেমাগুলোঃ
১। দারুচিনি দ্বীপ
২। মনপুরা
৩। বিহঙ্গ
৪। স্বপ্ন ডানায়
৫। বৃত্তের বাইরে
৬। শঙ্খনাদ
৭। মেড ইন বাংলাদেশ
৮। না বোল না (বাবু অভিনীত একমাত্র বাণিজ্যিক ছায়াছবি)
২০০৪ সালে ফজলুর রাহমান বাবু ‘শঙ্খনাদ’ ছায়াছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও তিনি একাধিক বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ডায়মন্ড আর.টি.ভি স্টার পুরস্কার, পদ্ম পুরস্কার এবং বাচসাস (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি) পুরস্কার পেয়েছেন।
২০০০ সালের আগে পর্যন্ত বাবু থিয়েটার ও টেলিভিশনে সমানভাবেই কাজ করেছেন, কিন্তু পরবর্তিতে তাকে টিভিতে কাজের জন্য মাসে পঁচিশ দিন করে সময় দিতে হত বলে থিয়েটার থেকে সরে আস্তে হয়। ২০০০ থেকে ২০০১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের ‘বিহঙ্গ’ ছবি দিয়ে বাংলা ছবিতে পদার্পন করেন।
মনপুরা ছবিতে একটি গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাবু তার আরও একটি প্রতিভার জানান দেন। তিনি তার প্রথম একক মিউজিক এ্যালবাম ‘ডুবাডুবি’ বের করেন ২০০৯ সালে। এছাড়াও ২০০৮ সালে ‘মনচোরা’ নামক একটি মিক্সড এ্যালবামে তিনি চারটি গান গেয়েছেন। ‘কৃষ্ণকুমারী’ তার অপর একটি মিক্সড এ্যালবাম।
 
Top