বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে যে কয়েকজন অভিনেতা নিজস্ব অভিনয় গুনে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছেন চতুর ও দক্ষ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান তাদের মধ্যে অন্যতম। এটিএম শামসুজ্জামান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা,পরিচালক,কাহিনীকার,চিত্রনাট্যকার,সংলাপকার ও গল্পকার। পারিবারিক ভাবে তিনি ছয়টি ছেলে সন্তানের জনক।  

ATM Samsuzzaman, এটিএম শামসুজ্জামান
চলচ্চিত্র জীবন
পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ১৯৬১ সালে চলচ্চিত্র জীবনের শুরু এটিএম শামসুজ্জামানের। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা,এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৪ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি।
মঞ্চ ও টিভি নাটকে আগমন   
অভিনয় জীবনের শুরুতে ষাটের দশকে টিভি নাটকে ও মঞ্চে অভিনয় করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
পরিচালনা
২০০৬ সালে প্রথম পরিচালনা করেন শাবনূর-রিয়াজ জুটির এবাদত নামের ছবিটি।
সম্মাননা
এটিএম শামসুজ্জামান চারবার জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।  তিনি ১৯৮৭ সালে অপেক্ষা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ট্র অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য পুরস্কারে এটিএম শামসুজ্জামান ভূষিত হয়েছেন।
 
Top