বাংলাদেশের গুণী অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। স্বাধীনতার পর থেকে টিভি ও
মঞ্চে সমান তালে সফলতার সাথে অভিনয় করে আসছেন। ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তকে
'হুরমতির চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিপুল প্রশংসা লাভ করেন।
জন্ম
বরিশালে জন্মগ্রহন করেন ফেরদৌসী মজুমদার।
পারিবারিক জীবন
- বরিশালে জন্ম হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়।
- বাবা খান বাহাদুর আব্দুল হালিম চৌধুরী ছিলেন ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট।
- তাঁর ভাইবোন ছিল মোট ১৪ জন। এদের মধ্যে ৮ জন ভাই এবং ৬ জন বোন।
- সবচেয়ে বড় ভাই কবীর চৌধুরী এবং মেজ ভাই শহীদ মুনীর চৌধুরী।
- তাঁর পৈতিক নিবাস নোয়াখালীতে। ফেরদৌসী মজুমদারের পরিবার ছিল খুব রক্ষণশীল।
- মুসলিম গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ইডেন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন।
- বাবা মার অমতে তিনি ১৯৭০ সালে খ্যাতিমান অভিনেতা রামেন্দু মজুমদারকে বিয়ে করেন।
- ত্রপা মজুমদার তাঁদের মেয়ে।
অভিনয় জীবন
- ইডেন কলেজে পড়ার সময় তাঁর বড় ভাই মুনীর চৌধুরী থেকে “ডাক্তার আবদুল্লাহর কারখানা” নাটকে রোবটের চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পান।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তিনি পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘দন্ড ও দন্ডধর’ নাটকে অভিনয় করেন ।
- জড়িয়ে পড়েরন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকের ফোরামে।
- সন্মানী হিসেবে পান মাত্র ৭৫ টাকা।
- ফেরদৌসী মজুমদার নীলিমা ইব্রাহিমের লেখা ‘তামসি’ নামক নাটকে অভিনয় করেন।
- ১৯৭২ সালে ‘থিয়েটার’ দলে যোগ দেন রামেন্দু মজুমদার।
- তিনি মাত্র ২টি সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমা দুটি মায়ের অধিকার এবং দমকা।
- বাংলাদেশ টেলিভিশনে ৩০০ এর মতো নাটকে অভিনয় করেন।
- আবদুল্লাহ আল মামুন ফেরদৌসী মজুমদারকে নিয়ে একটি ৮৬ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন যার নাম ‘জীবন ও অভিনয়’ ।
উল্লেখযোগ্য নাটক
- কোকিলারা
- এখনো ক্রীতদাস
- বরফ গলা নদী
- জীবিত ও মৃত
- বাঁচা
- অকুল দরিয়া
- যোগাযোগ
- সংশপ্তক
- চোখের বালি
- নিভৃত যতনে
- শংখনীল কারাগার
- এখনও দুঃসময়
- পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়