জয়া আহসান দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের একজন। মডেলিংয়ে, টিভিনাটকে
এমনকি চলচ্চিত্রেও নিজের মেধার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। ব্যতিক্রমী নানা
চরিত্রে অভিনয় করে জয়া আহসান তার প্রতিভার বহুমুখিতার ছাপ রেখেছেন; জায়গা
করে নিয়েছেন ভক্তদের হৃদয়ে। তার বাবার নাম আবু মোঃ মাসুদ এবং মায়ের নাম
রেহানা মাসুদ। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। ডাক নাম- জয়া।
জন্মঃ
জয়া অভিনীত চলচ্চিত্রঃ
উল্লেখযোগ্য এক পর্বের নাটকঃ
জয়ার উল্লেখযোগ্য অর্জনঃ
জন্মঃ
পহেলা জুলাই ইং তারিখে জয়া আহসান জন্মগ্রহন করেন। তিনি কর্কট রাশির জাতিকা।
প্রাথমিক জীবনঃ জয়া আহসান টিভি নাটকে অভিনয় করছেন
অনেকদিন ধরে। অভিনয় শুরুর আগে নাচ ও গানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন।
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর ডিপ্লোমা
করেছেন। আধুনিক সঙ্গীতের উপরও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি একটি গানের স্কুলও
পরিচালনা করতেন। মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল জয়া আহসানের।
পরবর্তী সময়ে মডেলিংয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে মনোযোগী হয়েছেন অভিনয়ে। টিভি
নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেকে আর
কিছুতেই জড়াননি এ অভিনেত্রী। দর্শকদের সামনে নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে
সাজাতে আগ্রহী জয়া। তার পুরো সত্ত্বা জুড়েই যেন মিশে আছে অভিনয়।
মডেলিং শুরু করেছেন ‘কোকাকোলা’ বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে। এরপর প্রথম টেলিভিশন
নাটক করেন ‘প্রসন্ন পাষাণ’ এবং তারপর মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী পরিচালিত
‘ব্যাচেলর’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় অনুপ্রবেশ করেন জয়া আহসান।
জয়া অভিনীত চলচ্চিত্রঃ
১। ব্যাচেলর (২০০৪)
২। ডুবসাঁতার (২০১০)
৩। গেরিলা (২০১১)
৪। চোরাবালি (২০১২)
৫। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩)
উল্লেখযোগ্য এক পর্বের নাটকঃ
১। আমেরিকানা
২। নো ম্যানস ল্যান্ড
৩। তেভাগা
৪। অফ বীট
৫। তারপরেও আংগুরলতা নন্দকে ভালবাসে
উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক নাটকঃ
১। আমাদের ছোট নদী
২। দরজার ওপাশে
৩। লাবণ্য প্রভা
৪। মনে মনে
৫। নীড়
|
৬। পলায়ন পর্ব
৭। ৬৯
৮। সংশয়
৯। শঙ্খবাস
|
১। এনেছি সূর্যের হাসি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের পর জয়া জাতিসংঘের নারী ও শিশু সহায়তা বিভাগের শুভেচ্ছা দূত হন।
২। ‘গেরিলা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী) অর্জন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনের কিছু কথাঃ
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে জয়া, মডেল ফয়সালের সহধর্মিনী। সম্প্রতি
তাদের বিবাহবিচ্ছেদের গুজব ছড়ালেও তা ভিত্তিহীন বলে তাদের পারিবারিক
সূত্রে জানা গেছে। শাড়ি এবং সালোয়ার কামিজ পরতে অনেক বেশি ভালোবাসেন জয়া।
তার অবসর কাটে গান শুনে, ছবি দেখে। তার প্রিয় মডেল হলেন মৌ এবং নাওমি
ক্যম্পবেল।