জিয়া খান, zia khan, jia khan
বেশিরভাগই অবশ্য দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার আগে একটি করে সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। আর প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার একটাই কারণ, ‘ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা’। কীসের এত সমস্যা তাঁদের, কীসের এত কষ্ট ছিল যে ঝলমলে জীবন ছেড়ে পারি জমিয়েছেন মৃত্যুলোকের ওপারে? সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার রেখে ভক্তকূলের মন ভেঙে হারিয়ে গেছেন তারা। ভারতীয় পত্রিকা অবলম্বনে সেই অকালে হারানো নক্ষত্রদের নিয়ে এই ফিচার।
এ ধারায় প্রথমেই যার কথা বলা যায়, তিনি ছিলেন নাজুক জিয়া খান। ক্যারিয়ারের শুরুই করেছিলেন ‘নিঃশব্দে’। ‘হট অ্যান্ড সেক্সি’ হলেও ঝুলিতে তেমন কোনো ফিল্ম ছিল না তার। তবে, কিসের এত মানসিক চাপ কে জানে! হঠাৎই ২০১৩ সালের ৩ জুন নিজের জুহুর ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন তিনি। যদিও জিয়ার মা, বয়ফেন্ড সুরজ পাঞ্চলির ওপরই অভিযোগ আরোপ করেন।
দিব্যা ভারতী, divya bharati, divya varati

১৯৯৩ সালে ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন আরেক বলিউড সুন্দরী। তিনি দিব্যা ভারতী। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তার আত্মহত্যার কারণ আজও প্রায় অজানা। তবে এই দুর্ঘটনা সত্যিই বেদনাদায়ক ঘটনা।
পারভিন ববি, parvin boby
অন্যদিকে, আত্মহত্যার দুই দিন পর মৃতদেহ উদ্ধার হয় পারভিন ববির। ২০০৫ সালের এই ঘটনাকে আ্যত্মহত্যারই খেতাব দেওয়া হয়েছিল। তবে, কোনো কারণে জীবনের শেষ ধাপে পারভিন এমন সিদ্ধান্ত নেন তা জানা যায়নি।
নাফিসা জোসেফ, nafisa zosef
আত্মহত্যা করা অপরজন মিস ইন্ডিয়া এবং ভিডিও জকি নাফিসা জোসেফ। ক্যারিয়ারে আস্তে আস্তে পারদ চড়ছিল। বিয়ের পরই যত বিপত্তি। বিয়ের পর জানতে পারলেন তার স্বামীর এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ব্যস! সেই চরম দুঃখে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়লেন।
সাউথের সুন্দরি সিল্ক স্মিতা। ১৯৯৬ সালে নিজের বেডরুমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পাশে পাওয়া সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, জীবন থেকে হতাশ হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কুলজিৎ রান্ধওয়া, kuljit randhwa
জনপ্রিয় মেগাসিরিয়াল অভিনেত্রী কুলজিৎ রান্ধওয়াও বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। ২০০৬ সালে তিনিও জীবন বিসর্জন দেন আত্মহত্যা করে। সুইসাইড নোট লিখে যান, তিনি নাকি আর জীবনের দুর্বিসহ চাপ নিতে পারছেন না।
আশাজির কন্যা তথাকথিত সুন্দরী নন। তবে, লেখালেখির পাশাপাশির বর্ষা ভোসলে হিন্দী ও ভোজপুরি গান করতেন। ২০১২ সালে তিনিও আত্মহত্যা করেন। মৃতদেহের পাশে পাওয়া গেল সেই সুইসাইড নোট। জানা যায়, বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়েই এমন পথ বেছে নেন তিনি।
সূত্র-ভারতীয় পত্রিকা
 
Top