আপনি নিখুঁত, তরুণ্যভরা, ব্রণমুক্ত,
উজ্জ্বল কোমল ত্বক চান? তবে আজ থেকেই শুরু করুন নিয়মিত যত্ন নিতে। আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে চেহারাকে সুযোগ দিন মিষ্টি হেসে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে। আর
নিজেকেই খুঁজে নিন নতুন রূপে:
মশ্চারাইজার: আপনার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভাল মানের মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
হাসি: হাসতে ভুলে যান নি তো, মনে করে
দেখুনতো কবে মন খুলে হেসেছেন? জানেন তো হাসি শ্রেষ্ঠ ওষুধ। মনে রাখবেন
সমবয়সী হলেও যারা সারাক্ষণ গম্ভীর মুডে থাকে তাদের চেয়ে হাসিখুশি থাকাদের
দেখতে অনেক ছোট লাগে।
ব্যায়াম: দৈনন্দিন রুটিনে একটি নির্দিষ্ট
সময় সহজ কিছু ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ করে দিন। সারা দিন ব্যস্ততার জন্য
সময় না পেলে রাতে খাওয়ার পরে হাঁটুন।
পানি: ত্বক সতেজ এবং সুন্দর রাখতে হলে
আদ্রতা রক্ষা করতে হয়। পানির প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয় আর নতুন করে বলতে হবে
না বন্ধুদের। তাই শরীর এবং ত্বকের সুস্থতায় প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব পানি
পান করুন।
ফেসওয়াশ-সানস্ক্রিন প্রতিদিন: ত্বকে
ময়লা জমেই ব্রণ হয়, রোদে পুড়ে কালো ছোপ পড়ে আরও কতো সমস্যা! প্রতিদিন
অন্তত দুইবার ভালো কোম্পানির ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আর
বাইরে যাওয়ার সময় অথবা ঘরে রান্নার সময়ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
স্ক্র্যাব: মরা কোষ সরিয়ে ত্বক কোমল ও
মসৃণ করতে সপ্তাহে দুইদিন স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন। চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে
ত্বকে স্ক্র্যাব করতে পারেন। এজন্য চিনি, লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল দিয়ে
মাস্ক তৈরি করে নিন। এবার কিছুক্ষণ এই মিশ্রণ দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে
নিন। চালের গুঁড়াও স্ক্র্যাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
চাপমুক্ত থাকুন: সারাক্ষণ মানসিক চাপ
আমাদের শরীর এবং মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কোনো কিছু করতেই আগ্রহ বোধ
করি না। যে সুযোগে অবহেলায় আমাদের ত্বকেরও বারোটা বাজে। মানসিক চাপ
তাড়াতে চেষ্টা করুন এমন কিছু করতে যা আপনাকে সত্যিই আনন্দ দিতে পারে।
ডায়েট: আমাদের ত্বক এবং স্বাস্থ্য দুটোর
সুস্থতার অনেকখানি নির্ভর করে খাদ্যাভাসের ওপর। আর তাই প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন।
ঘুম: সঠিক বিশ্রাম না হলে শরীরের মতো
আমাদের ত্বকেরও অবস্থা নাজুক হয়ে যায়। কারণ ঘুমের মধ্যেই আমাদের ত্বকের
কোষগুলো ক্ষতি পুষিয়ে পরের দিনের জন্য তৈরি হয়। প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা
ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ওমেগা থ্রি: শুধুমাত্র হৃদরোগের ঝুঁকি
কমাতেই ওমেগা থ্রি তেল কার্যকর নয়। চর্মরোগবিশেষজ্ঞরা শুষ্ক রুক্ষ ত্বকের
মসৃণতা বাড়াতেও এটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
চোখ: আমাদের অনেকেরই ত্বকের অন্য অংশের
চেয়ে চোখের চারপাশের ত্বক কালো থাকে। অনেক সময় অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই
ত্বক কুঁচকেও যায়। চোখের ত্বকের ডার্ক সার্কেল ঠিক করতে প্রতিদিন রাতে ভাল
মানের আই ক্রিম ব্যবহার করুন। ঘরের প্রাকৃতিক উপাদানও ব্যবহার করতে পারেন
চোখের কালো ও ক্লান্তিভাব দূর করে সতেজ প্রাণোচ্ছল দেখাতে, আলু বা শশা
থেঁতো করে চোখের ওপর দিয়ে ৩০ মিনিট শুয়ে থাকুন। এই সমস্যা থেকে মুক্তির
আরেকটি মজার সমাধান আছে, ছোট চায়ের চামচ ফ্রিজে রেখে চোখের চারপাশে চেপে
চেপে ধরুন যতক্ষণ পর্যন্ত এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় না আসে।
কোমল ঠোঁট: কোমল মসৃণ ঠোঁটের জন্যও আমাদের
কিছু ঘরোয়া টিপস জেনে রাখলে কাজে দেবে। যেমন, ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে
কাঁচা দুধ তুলায় নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার আলতো করে ঘষে কিছুক্ষণ পর পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট মসৃণ করতে দুধের সর ও চিনি দিয়ে প্রতিদিন মাত্র
দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন, চমৎকার ফলাফল পাবেন। ঠোঁটে পেট্রেলিয়াম জেলি মেখে
তার ওপরে চিনি দিয়ে স্ক্র্যাব করুন। একবার ব্যবহারেই পার্থক বুঝতে
পারবেন।
বন্ধুরা কিছুক্ষণ সময় নিজের জন্য রাখুন একটু সচেতন হোন। সুপার সফট স্কিন তো মাত্র কয়েক দিনেই এসে যাবে।