কাজী নজরুল ইসলাম, kazi nazrul islam
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন সাজ্জাদ বকুল।
তিনি রাজশাহী থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
সাজ্জাদ বকুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তরুণ শিক্ষক। তিনি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহাকে নিয়ে ২০১২ সালে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এ চলচ্চিত্রটি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
রাজশাহী ত্যাগের আগে সাজ্জাদ বকুল বলেন, কবি নজরুলকে নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কবিতীর্থ চুরুলিয়া যাচ্ছি। চুরুলিয়ায় দুদিন কাজ করে ফিরব কলকাতায়। কলকাতায় তিনদিন কাজ করে ফিরব আমার প্রিয় রাজশাহী, মতিহারের সবুজ চত্বরে।
কবি নজরুলকে নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে নির্মাতা সাজ্জাদ বকুল বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহাকে নিয়ে ২০১২ সালে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করি। এরপর এক বছরের কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে। এ সময় পরিকল্পনা করি কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র (ডকুড্রামা) নির্মাণের।
বিশদ গবেষণাধর্মী এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ করেছি।
চুরুলিয়া ও কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, কবি নজরুলের জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম। কবির শৈশব ও কৈশোরের লেখাপড়া আর কর্মসংস্থানের জায়গা আসানসোল। এ শহরেই তিনি কবি আর সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে উঠেছিলেন খ্যাতির শিখরে। এছাড়া তিনি কলকাতায় অবস্থান করেছেন দীর্ঘদিন। সেই কলকাতায় কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ এবং তাঁর আত্মীয়স্বজন ও সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার শ্যুট করতেই এ যাত্রা।
তিনি জানান, এক সপ্তাহের এ ট্যুরে তার সঙ্গে থাকছেন ছবির সিনেমাটোগ্রাফার কাম ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি কিশোর মাহমুদ।
সাজ্জাদ বকুল বলেন, এই ছবি আমার কাছে একটি ড্রিম প্রোজেক্ট। এই ছবির মাধ্যমে আমাদের সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় রাজপুত্রকে হাজির করবো সারা বিশ্বের কাছে। পুরো বিশ্বের নজরুল অনুরাগীরা প্রাণভরে দেখতে ও চিনতে পারবেন চিরসুন্দরের পূজারী মানবতাবাদী কবি নজরুলকে। পাশাপাশি তাঁর ট্র্যাজিক জীবনের অনেক অজানা বিষয়ও বিশদরূপে হাজির করা হবে এ চলচ্চিত্রে।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ আগামী আট মাসের মধ্যে শেষ হবে। এ ব্যাপারে তরুণ নির্মাতা সাজ্জাদ বকুল বলেন, ভারত থেকে ফিরে এসে শুরু হবে বাংলাদেশ অংশের কাজ। এ দেশে নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোর চিত্রধারণের পাশাপাশি চলবে নজরুল-জীবনের উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল ঘটনার ড্রামা অংশের শ্যুটিং। এ বছরের মধ্যে সকল কাজ শেষে ছবিটির মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা আছে আমার।
 
Top