বুদ্ধি কি আদৌ বৃদ্ধি করা যায়? উত্তরটি হলো, অবশ্যই যায়। জন্মগতভাবেই হয়তো কারো মস্তিষ্ক বেশি ক্ষমতাবান হয়ে থাকে। কিন্তু সেই ক্ষমতার কোনো মূল্য নেই যদি না সেটা চর্চা করা হয় এবং মস্তিষ্ককে রাখা যায় সুস্থ ও সবল।
দারুণ বুদ্ধিমত্তার প্রধান মূলমন্ত্র হচ্ছে মস্তিষ্ককে সচল রাখা এবং অবশ্যই সুস্থ রাখা। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো ও বুদ্ধিমত্তাকে শানিত রাখার জন্য দরকার কিছু বিশেষ যত্নের ও সাবধানতার। আসুন জেনে নেয়া যাক মস্তিস্ক সুস্থ রাখার ও বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করার সহজ ৮ টি কৌশল।
মাথা খাটানোর কাজ করুন
আমরা অনেকেই পড়ালেখা শেষ করে একদমই পড়ালেখা ধরণের কোন কাজ করতে চাই না। কিন্তু পড়াশোনার কাজে থাকলে আমাদের মস্তিষ্কের চর্চা হয়। এতে অ্যালঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমে যায়। তাই অবসর পেলেই মাইন্ড গেম ধরণের খেলা খেলুন, পাজল কিংবা মাথা খাটানো ধরণের কাজের মধ্যে থাকুন।
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন
শারীরিক পরিশ্রম করা মস্তিষ্কের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ধরণের শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করুন কিংবা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে করে দেহে এবং মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে।
সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকুন
মানুষের সাথে কথা বলা এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করা মস্তিষ্কের জন্য বেশ ভালো। কারন সবার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে যে কাজ করতে হয় এতে মস্তিষ্কে স্টিমুলেশন হয়। এতে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
মস্তিষ্ককে দিন স্বাস্থ্যকর খাবার
মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খান। ভিটামিন ই, সি, ডি এবং ফোলাইট সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাবার তালিকায়। আয়রনের পরিমাণ পরিমিত করুন। প্রতিদিন খাবার তালিকায় রাখুন শাকসবজি এবং মাছ। মৌসুমি ফলমূল খাবার অভ্যাস করুন।
ওজনের প্রতি লক্ষ্য রাখুন
বাড়তি ওজন দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতই মস্তিষ্কের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই দেহের উচ্চতার সাথে মাপসই ওজন ধরে রাখার চেস্টা করুন মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য।
স্মৃতিরোমন্থন করুন
অতীত স্মৃতিরোমন্থন মস্তিষ্কের জন্য বেশ ভালো একটি কাজ। এতে মস্তিষ্কের চর্চা ভালো হয়। তবে অবশ্যই দুঃখের কোন স্মৃতিরোমন্থন করতে যাবেন না। এতে বরং মস্তিষ্কে চাপ পরে। তাই অবসর সময়ে বসে অতীত সুখস্মৃতি মনে করুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান
কম এবং বেশি ঘুম দুটোই মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। কম ঘুমে মস্তিষ্কের নার্ভ সিস্টেমে চাপ পরে এবং বেশি ঘুমে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। তাই প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভভাস করুন।
নিয়মিত চেকআপ করান
মস্তিষ্কের রোগের ধরন একটু ভিন্ন হয়। সহজে এবং কোন লক্ষণ দখে মস্তিষ্কের রোগ নির্ণয় করা অনেক কষ্টসাধ্য। তাই নিয়মিত মস্তিষ্কের চেকআপ করান। এতে করে কোন রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে চিকিৎসা করে সুস্থ করা সম্ভব হয়।