প্রথমে পাইলট পরে আর্কিটেক্ট হওয়ার
স্বপ্ন দেখতেন লাক্স তারকা জাকিয়া বারী মম। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে
সেই জায়গা দখল করে সংস্কৃতি কর্মী হওয়ার স্বপ্ন। তৃতীয় স্বপ্নটি
বাস্তবায়ন করতে গিয়েই দর্শকদের কাছে মম নামের পরিচিতি হয়। লাক্স সুন্দরী
প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার সুবাদে দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে
অভিনয় অভিষেক হয়। আর প্রথম ছবিতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে নিয়ে
আলোচনায় চলে আসেন মম। মমের পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জাকিয়া বারী মমের
ছোটবেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই কাটে।
পড়াশোনা:
মম পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর পড়ার বিষয় 'নাটক ও
নাট্যতত্ত্ব'। অনার্স-মাস্টার্স দুটোতেই তাঁর ফল প্রথম শ্রেণীতে প্রথম। একই
বিষয়ে এখন এমফিল করছেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
ব্যক্তিগত জীবনে মম নাট্যকার এজাজ মুন্নার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে উদ্ভাস নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
পুরস্কার:
অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম ঘরে তুলেছেন অনেক নামিদামি পুরস্কার। ১৯৯৫ সালে
নৃত্যে নতুন কুঁড়ি পুরস্কার জেতার পর ২০০৬ সালে হন লাক্স-চ্যানেল আই
সুপারস্টার। 'দারুচিনি দ্বীপ' নামের মাত্র একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই
পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
যা কিছু প্রিয়:
প্রিয় পোশাক : আমার প্রিয় পোশাক শাড়ি। শাড়ি পরতে ভালো লাগে। তবে আরামদায়ক
লাগে পাঞ্জাবি আর জিনস। সময় এবং উৎসব বুঝে এক এক ধরনের শাড়ি পরি। শাড়ির
ক্ষেত্রে গোলাপি এবং বেগুনি রং প্রিয়। সুতির পোশাক ভালো লাগে। দেশি ফ্যাশন
হাউসের মধ্যে রং, আলতামিরা, শাহরুখ কালেকশন্সের পোশাক পরি।
অনুষঙ্গ : অনুষঙ্গের মধ্যে তো অনেক কিছুই পরে। চুড়ি, ক্লিপ, সানগ্লাস, ঘড়ি।
হেয়ার ট্রিটমেন্ট : পার্লারে গেলে পারসোনাতেই যাই। ওখানে চুলের জন্য হেনা আর কন্ডিশন ব্যবহার করি। তবে বাসায় নিয়ম করে চুলে তেল দিই।
বিউটি ট্রিটমেন্ট : মাসে দুইবার পার্লারে যাই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নানা
ধরনের ফেসিয়াল করাই। বাসায় অবশ্য ভালো মানের যে কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে শুধু মুখ
পরিষ্কার করি।
প্রসাধনী : মেকআপের সরঞ্জাম, আইলাইনার, মাসকারা সবক্ষেত্রেই মোটামুটি
ম্যাকের পণ্য ব্যবহার করি। লোশন ব্যবহার করি জনসনের। সুগন্ধী একেক সময়
একেকটা ব্যবহার করি।
প্রিয় অভিনেত্রীর নাম জানতে চাইলে মম বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই মাধুরী
দীক্ষিতকে দেখে অনুপ্রাণিত হতাম, তার হাসি, অভিনয়, নাচ সবকিছুই আমার
ভালোলাগে। এছাড়াও ৫০-এর দশকের ম্যারিলিন মনরো স্টাইলগুলো আমার ভালো লাগে।
পছন্দের মুভি নিয়ে তিনি বলেন, আমি সব ধরনের সিনেমা-নাটক দেখি। চোখের সামনে
যা পাই তাই দেখি ভালো-মন্দ সব। আসলে সবকিছু থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। মমের
প্রিয় রঙ হলুদ। অবসর পেলে মম গান শোনেন। তার প্রিয় গায়ক সম্পর্কে তিনি
বলেন, আমি সব ধরনের গান শুনি। গানের ব্যাপারটা আসলে মনের ওপর নির্ভর করে।
প্রিয় বই বা লেখক নিয়ে জানতে চাইলে মম বলেন, বই পড়ার জন্য মাঝে মধ্যে সময়
বের করি। আমার অনেক পছন্দের উপন্যাস প্রথম আলো, লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে বইটা দু’বার পড়েছি। প্রতিশ্রুতিশীল এ অভিনেত্রী ভবিষ্যতেও অভিনয়
নিয়ে থাকতে চান। অভিনয়টা তার খুব পছন্দের কাজ।