বাংলাদেশের বর্তমানে জনপ্রিয় একজন
টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র তারকা হলেন চঞ্চল চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে তিনি তার অভিনয়
জীবন শুরু করেন। সেসময় তিনি আরন্যক নাট্যদলে যোগ দিয়েছিলেন। তার শুরুর
দিকের জনপ্রিয় কিছু মঞ্চ নাটক হল, চে-র সাইকেল, প্রাকৃতজনের কথা, জয়জয়ন্তি,
সংক্রান্তি, ওরে কদম আলি, ময়ূর সিংহাসিন, সংক্রান্তি প্রভৃতি।
‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। এই
চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের প্রথম কমার্শিয়াল ছবি ছিল, যা ব্যাপকভাবে সারা দেশে
জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বক্স অফিসে একরকম ঝড় তোলে চঞ্চল অভিনীত মনপুরা।
তিনি বেশ কিছু মেগা ধারাবাহিকও করেছেন। তিনি প্রধানত কমেডি ধরনের অভিনয় করে
থাকেন।
জন্মঃ
১৯৭৪ সালের ১লা জুলাই, বাংলাদেশের পাবনা জেলায় চঞ্চল চৌধুরী জন্মগ্রহন করেন।
প্রাথমিক জীবনঃ
পাবনা জেলার কামারহাট গ্রামেই চঞ্চলের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তিনি উদয়পুর হাই
স্কুল থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি পাশ করেন এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯২
সালে এইচএসসি পাশ করেন। তের বাবা-মার ইচ্ছা ছিল তাকে প্রকৌশলী বানানোর,
কিন্তু তিনি তা চাইলেন না এবং ১৯৯৩ সালে ঢাকায় এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ফাইন আর্স বিভাগে ভর্তি হলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষে থাকাকালীন চঞ্চল আরন্যক নাট্যদলের সাথে যোগ
দেন এবং সেখানে তিনি দশ বছর কাজ করেছেন। এই সময়ে তিনি বিভিন্ন নাটকে কিছু
ছোট ছোট অভিনয় করেছেন। ফরিদুর রহমান পরিচালিত ‘গ্রাস’ নাটকে তিনি প্রথম
নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত চঞ্চল ইওডা নামক
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে চাকরি করেন।
২০০৪ সালে, ফজলুর রহমান বাবু (অভিনেতা) চঞ্চলকে পরিচয় করিয়ে দেন প্রখ্যাত
পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং মোস্তফা সারওয়ার ফারুকির সাথে। এরপর তাকে
আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। চঞ্চল তারপর একের পর এক নাটক করে দর্শক মনে নিজ
জায়গা করে নিয়েছেন।
একটি বিজ্ঞাপনেও কন্ঠ দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার গান গাওয়া বিষয়ে কোন
পুথিগত বিদ্যা ছিলনা, তারপরও তিনি মোস্তফা সারওয়ার ফারুকিকে বলেন তাকে একটা
সুযোগ দিতে এবং তিনি তা পেয়েও যান। এর জন্য তিনি ২০০৬ সালে সেরা মডেলের
পুরস্কারও অর্জন করেন।
চঞ্চলের কর্ম জীবনঃ
চঞ্চল এপর্যন্ত যে সমস্ত নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, তার মাঝে উল্লেখযোগ্যগুলো হলঃ
বছর
|
নাম
|
মন্তব্য
|
১৯৯৮
|
সংক্রান্তি
|
আরন্যক নাট্যদলের প্রযোজনায়
|
১৯৯৯
|
প্রাকৃতজনের কথা
|
আরন্যক নাট্যদলের প্রযোজনায়
|
২০০০
|
ওরে কদম আলি
|
আরন্যক নাট্যদলের প্রযোজনায়
|
২০০৩
|
ময়ূর সিংহাসন
|
আরন্যক নাট্যদলের প্রযোজনায়
|
২০০৩
|
সংক্রান্তী
|
আরন্যক নাট্যদলের প্রযোজনায়
|
২০০৩
|
চে-র সাইকেল
|
বাংলা থিয়েটারের প্রযোজনায়
|
২০০৪
|
জয়জয়ন্তি
|
আরন্যক নাট্যদলের প্রযোজনায়
|
২০০৪
|
রারং
|
আরন্যক নাট্যদলের প্রযোজনায়
|
২০০৬
|
তালপাতার সেপাই
|
নাটক
|
২০০৬
|
বংশের বাতি
|
নাটক
|
২০০৬
|
গরুচোর
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৬
|
নূরুন্নাহার
|
নাটক
|
২০০৭
|
স্বপ্নের বিলাত
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৭
|
রূপকথার গল্প
|
চলচ্চিত্র; মেরিল-প্রথমআলো পুরস্কার (সেরা নায়ক) পেয়েছেন
|
২০০৭
|
এতিমখানা
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৭
|
ভবের হাট
|
মেগা সিরিয়াল (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৮
|
টুনটুনি ভিলা
|
মেগা সিরিয়াল
|
২০০৮
|
মামা ভাগ্নে
|
মেগা সিরিয়াল
|
২০০৮
|
ঘর কুটুম
|
মেগা সিরিয়াল (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৮
|
ঢলের বাদ্য
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৮
|
কলেজটুডেন্ট
|
নাটক
|
২০০৮
|
পত্র মিতালী
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৯
|
মনপুরা
|
চলচ্চিত্র (পুরস্কারপ্রাপ্ত); গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত
|
২০০৯
|
পাত্রীচাই
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৯
|
ওয়ারেন্ট
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৯
|
হারকিপ্টে
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৯
|
আলতা সুন্দরি
|
মেগা সিরিয়াল (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৯
|
সিন্ডারেলা
|
নাটক
|
২০০৯
|
গাধা নগর
|
নাটক (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০০৯
|
সাকিন সারিসুরি
|
মেগা সিরিয়াল (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০১০
|
মনের মানুষ
|
ইন্দো-বাংলাদেশী বাংলা চলচ্চিত্র (গৌতম ঘোষ পরিচালিত)
|
২০১১
|
হারকিপ্টে
|
মেগা সিরিয়াল (সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায়)
|
২০১২
|
টেলিভিশন
|
চলচ্চিত্র (মোস্তফা সারওয়ার ফারুকি পরিচালিত)
|