বাংলা চলচ্চিত্রের সফল চলচ্চিত্রকাররা কি সবাই পুরুষ? নাহ, পুরুষ নির্মাতাদের পাশাপাশি অনেক নারী নির্মাতাও ছবি নির্মান করে সফল হয়েছেন। নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে নারীরা চিত্র পরিচালনার পেশায় সহজে আসতে চান না। তবে সংখ্যায় কম হলেও নারী নির্মাতাদের তৈরী ছবি গুলো অধিকাংশই সফল এবং প্রশংসিত।
জেনে নিন বাংলাদেশের নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তাদের চলচ্চিত্র সম্পর্কে।
বাংলা চলচ্চিত্রে নারী নির্মাতাদের পথচলা শুরু হয় রেবেকার মাধ্যমে। তিনি ১৯৭০ সালে নির্মাণ করেন বিন্দু থেকে বৃত্ত ছবিটি। এরপরে অভিনেত্রী রোজি আফসারি ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করেন আশা নিরাশা ছবিটি। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় অভিনেত্রী সুজাতা পরিচালিত অর্পণ ছবিটি। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় অভিনেত্রী সুচন্দা পরিচালিত সবুজ কোট কালো চশমা ছবিটি।
২০০২ সালে মুক্তি পায় ইমপ্রেস প্রযোজিত নারগিস আখতার পরিচালিত এইচআইভি এইডস নিয়ে প্রথম ছবি মেঘলা আকাশ। ২০০৩ সালে মুক্তি পায় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত মৌসুমী পরিচালিত প্রথম মুভি কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় সুচন্দা পরিচালিত ২য় ছবি সরকারী অনুদানে নির্মিত জহির রায়হানের উপন্যাস অবলম্বনে হাজার বছর ধরে।
২০০৫ সালে মুক্তি পায় নারগিস আখতার পরিচালিত ২য় ছবি চার সতীনের ঘর। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় মৌসুমী পরিচালিত ২য় ছবি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত কাজী নজরুলের ছোট গল্প অবলম্বনে মেহের নেগার (যৌথ পরিচালক গুলজার) । ২০০৬ সালে মুক্তি পায় কবরী পরিচালিত এসিড সন্ত্রাস নিয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর আয়না। ২০০৬ সালে মুক্তি পায় ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত অন্তর্যাত্রা (যৌথ পরিচালক তারেক মাসুদ)।
২০০৭ সালে মুক্তি পায় এনটিভি প্রযোজিত সামিয়া জামান পরিচালিত রানীকুঠির বাকি ইতিহাস। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় নারগিস আখতার পরিচালিত মেঘলা আকাশ এর সিক্যুয়েল মেঘের কোলে রোদ। ২০১০ সালে মুক্তি পায় নারগিস আখতার পরিচালিত ৪র্থ ছবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সমাপ্তি অবলম্বনে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর ছবি অবুঝ বউ। ২০১০ সালে মুক্তি পায় ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত রানওয়ে (যৌথ পরিচালক তারেক মাসুদ) ২০১১ সালে মুক্তি পায় রুবাইয়াৎ হোসেন পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র মেহেরজান।
২০১২ সালে মুক্তি পায় শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর উত্তরের সুর। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় সামিয়া জামান পরিচালিত ২য় ছবি সরকারী অনুদান ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত আকাশ কত দূরে।
 
Top