আদা
আমাদের অতি পরিচিত একটি মশলার নাম। আদাকে মশলাই বলা চলে। আদা আমরা খাবারের
স্বাদ বাড়ানোর জন্যই বিশেষভাবে ব্যবহার করে থাকি। আদা কুচি বা আদা বাটা
খাবারের স্বাদ বাড়ায়। আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের
সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। আদা পেটের যে কোনও সমস্যা, সর্দি কাশি
নিরাময়ে বেশ সহায়তা করে। কিন্তু আপনি জানেন কি, এতো সব কিছুর পাশাপাশি আদার
রয়েছে বেশ কিছু সৌন্দর্য উপকারিতা? অনেকেই এই ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত নন।
চলুন তবে দেখে নেয়া যাক চেনা আদার অচেনা কিছু সৌন্দর্য উপকারিতা।
বয়সের ছাপ প্রতিরোধে আদা
আদার মধ্যে অ্যান্টিএইজিং উপাদান রয়েছে যা ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে বাধা
প্রদান করে। এছারা আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের টক্সিন দূর করে এবং দেহে
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে ও ত্বকের
সতেজ ভাব ধরে রাখে। তাই প্রতিদিন সামান্য আদা কাচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস
করুন। চেহারায় বহুকাল বলিরেখা পড়বে না।
ত্বকের পোড়া অংশ নিরাময়ে আদা
মাঝে মধ্যেই কাজ করতে গিয়ে যে কেউ পুড়িয়ে ফেলতে পারেন হাত বা পায়ের বা
দেহের যে কোনো অংশের ত্বক। ত্বকের এই পুড়ে যাওয়া নিরাময় করতে আদা বেশ
সহায়ক। তাজা আদার রস পোড়া অংশে দিয়ে রাখুন। দেখবেন দ্রুত সেরে উঠবে। এছাড়া
ত্বকের পোড়া অংশের দাগও দ্রুত চলে যাবে।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আদা
প্রতিদিন খানিকটা আদা কেটে নিয়ে ত্বকে ভালো করে ঘষুন। সারাদিন শেসে
বাসায় ফিরে খানিকটা আদা কেটে হাত, গলা ও মুখে ঘষুন। দেখবেন ত্বকের
উপরিভাগের উজ্জ্বলতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। এতে করে ত্বকের দাগও চলে যাবে।
চুল পড়া প্রতিরোধ ও নতুন চুল জন্মাতে আদা
আদার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের গোড়া মজবুত করে তোলে। গোসলের ২৫-৩০
মিনিট আগে তাজা আদার রস পুরো চুলে তেলের মতো করে লাগিয়ে নিন। মাথার ত্বকে
চুলের গোড়ার দিকে লাগাবেন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে চুল পড়া ৭৫% পর্যন্ত
কমে যাবে। আদার রস মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, এতে নতুন করে চুল
জন্মায় ও চুল হয় স্বাস্থ্যউজ্জ্বল।
চুলের আগা ফাটা ও রুক্ষতা দূর করতে আদা
আদার তেল শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিয়ে তা দিয়ে চুল ধুলে চুলের আগা ফাটা
এবং রুক্ষতা একেবারে দূর হয়ে যায়। এটি চুলের প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজারের মতো
কাজ করে। আদার তেল মার্কেটে না পেলে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন খুব সহজে। ১
কাপ অলিভ অয়েলে বড় একটি আদার খণ্ড কুঁচি করে দিয়ে তেল গরম করুন। ফুটতে
দেবেন না তেল। গরম হলে নামিয়ে নিন। এভাবে ৪/৫ বার করে তেল ঠাণ্ডা করে আদা
তেল থেকে ছেঁকে নিয়ে তৈরি করে ফেলুন আদার তেল।