nisho, shokh
দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার অহেতুক লড়াই, দ্বন্দ্ব, কারো প্রতি অদ্ভূত আসক্তি, পরকীয়ার রঙিন মোহ এবং অবশেষে ভুলকে ফুল করে প্রিয় ঘরে প্রিয় মানুষের কাছে ফিরে আসার টেলিফিল্ম ‘ভালোবাসার কাছে ফেরা’। রুদ্র মাহফুজের রচনা ও বি ইউ শুভ’র পরিচালনায় টেলিফিল্মটি আগামীকাল এপ্রিল রাত ১১ টায় প্রচারিত হবে। টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা চম্পা, আরফান নিশো, শখ, রাশেদ শুভসহ আরো অনেকে।
টেলিফিল্মটির গল্পের দৃশ্যায়ন এমন, অনিক ও নীলার বিয়ে হয়েছে বছর পাঁচ হলো। দুই পরিবারের সম্মতি ও পছন্দে তাদের বিয়ে হয়। অনিক ব্যবসায়ী, দিনরাত তার সব ব্যস্ততা নিজস্ব ব্যবসাকে কেন্দ্র করে। নীলা উচ্চশিক্ষিতা হলেও অনিকের অপছন্দের কারণেই মূলত তার কোনো চাকরি করা হয়ে ওঠে না। বিয়ের পাঁচ বছর পার হলেও অনিক-নীলার এখনো কোন সন্তান হয়নি এবং এই নিয়ে নীলার কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও অনিকের একদমই নেই, কারণ তার ধারণা যথেষ্ট সময় সামনে রয়েছে।
অনিক তার অফিসে এবং অফিসের বাইরে একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়েছে, যা নীলার কাছে কিছুটা হলেও জানা। এই নিয়ে দু-একবার দাম্পত্য কলহও সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে অনিকের ব্যস্ততা অন্যদিকে নীলার নি:সঙ্গতা।
অনিক রাত করে বাড়ি ফিরে। নীলা তার সঙ্গ চাইলেও অনিকের তাতে কোন আগ্রহ জন্মায় না। নীলার সময় কাটে টিভি দেখে, গান শুনে, খবরের কাগজ পড়ে, আর মাঝে মাঝে শপিং করে। ফেসবুকেও তার ভালো লাগে না। একদিন শপিং করতে গিয়ে পরিচয় হয় আসিফ নামের এক স্মার্ট তরুণের সাথে।
তারপর ঘটনাচক্রে আবারও দু’একবার দেখা হয়ে যায়। আসিফ নীলাকে অনেক রিকোয়েস্ট করে ফোন নম্বর নেয়। তারপর ফোন, ফেসবুকে নিয়মিত তাদের কথা হতে থাকে। আসিফ নীলার নি:সঙ্গতাকে পুঁজি করে তার আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়।
এক পর্যায়ে নীলাও আসিফের প্রেমে পড়ে, আর আসিফ এই সুযোগে নীলার কাছ থেকে কৌশলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। অনিক একদিন গাড়ি করে যাওয়ার সময় পথে নীলাকে আসিফের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখে। রাতে বাসায় ফিরে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দু’জনের মাঝে ঝগড়া হয়।
নীলা রাগ করে চলে যায় তার মা’র বাড়িতে। নীলা এরপর আফিসকে জানায় সে অনিকের সাথে আর থাকতে চায় না, আসিফের কাছে চলে যেতে চায়। এতে আসিফ দারুণ চমকে ওঠে এবং ধীরে ধীরে নীলাকে এড়িয়ে চলতে থাকে।
অন্যদিকে অনিকও নীলার অভাব বুঝতে পারে দিনকে দিন। একদিকে নীলার অভাব অন্যদিকে তার ব্যবসায়িক মন্দার মাঝে অনিকের তথাকথিত ভালোবাসার প্রেমিকাগুলো ক্রমশ দূরে সরে যায়। নীলা আসিফের মুখোমুখি হতে চায় কিন্তু আসিফ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এভাবেই শেষ হয় টেলিফিল্মটির কাহিনি।
 
Top