সকাল বেলা উঠেই যদি মেজাজটা গরম হয়ে যায় তাহলে কেমন লাগে বলুন তো? নিশ্চয়ই সারাটা দিন মেজাজ বিগড়ে থাকে? প্রতিনিয়তই আমাদের সাথে ঘটছে এমন কিছু ঘটনা যেগুলো সকাল বেলাতেই আমাদের মেজাজটাকে বিগড়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আর সকাল বেলা মেজাজ একবার বিগড়ে গেলে সারাদিন পরেও সেটা ভালো হওয়া বেশ মুশকিলের বিষয়। মিলিয়ে দেখুন তো এই কাজ গুলোতেই আপনার সকালের মেজাজটা বিগড়ে যাচ্ছে কিনা?

কর্কশ এলার্ম

সকাল বেলা পাখির ডাকে ঘুম ভাঙা তো শহুরে পরিবেশে সম্ভব না। তাই বলে যদি ঘুম ভাঙ্গে কর্কশ এলার্মের শব্দে! তাহলে নিশ্চয়ই মেজাজ বিগড়ে যায়। সকালের এলার্মে সেট করুন মিষ্টি কোনো শব্দ। তাহলে সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরপরই বিরক্তি তৈরি হবে না মনে।

সকালে কি পরবেন খুজতে গিয়ে দেরি হয়ে যাওয়া

প্রতিদিন সকালে যাদেরকে বাইরে বের হতে হয় তারা সকালে বেশ ঝামেলায় থাকেন। প্রতিদিনই কি পরবেন আর কি পরবেন না সেটা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন বেশিরভাগ মানুষ। নিজের আলমারীর সব পোশাকই তখন বিচ্ছিরি লাগতে শুরু করে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসময়ে একটা খুঁজে পাওয়া যায় তো আরেকটা পাওয়া যায় না। তখন এমনিতেই মেজাজ খিচড়ে যায় আর সেই সঙ্গে হয়ে যায় দেরী। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আগেরদিন রাতেই ঠিক করে গুছিয়ে রাখতে পারেন পরদিনের পোশাক।

চুলকে কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা

অধিকাংশ মানুষই এই সমস্যায় সপ্তাহে অন্তত কয়েকদিন মেজাজ খারাপ করেন। এই পরিস্থিতিতে কোনো ভাবেই ঠিক রাখা যায় না মেজাজ। কিছুতেই চুলকে মনের মত করে সাজাতে তো পারেনই না উল্টো বিচ্ছিরি হয়ে থাকে চুলের অবস্থা।

কারো সাথে বাকবিতন্ডা

সকাল সকাল কারো সাথে যদি বাকবিতন্ডায় জড়াতে হয় তাহলে খুব সহজেই মেজাজ বিগড়ে যায় আর সারা দিনের কাজের উপর থাকে এর প্রভাব। সকালে মানুষের মন খুব বেশি চাপ নিতে পারে না। আর তাই সকালে পরিবারের কারো সাথে কিংবা রিকশাওয়ালার সাথে ঝগড়া করতে কার ভালো লাগে বলুন?

ইন্টারনেট না থাকা

সকালে উঠে অধিকাংশ মানুষই নিজের ফেসবুকের একাউন্টটা একটু চেক করে। যাদের এই অভ্যাস আছে তারা সকালে ইন্টারনেটের সংযোগ না থাকলে সহজেই মেজাজ গরম করে ফেলে। সকালের ফেসবুকের চেহারা না দেখা পর্যন্ত এই অস্থিরতা ও মেজাজ খারাপ থাকে অনেকেরই।

বাসায় ভুলে প্রয়োজনীয় কিছু ফেলে আসা

বাসা থেকে সব কিছু নিয়েই বাইরে বের হয়েছেন। কিন্তু বেশ খানিকটা এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ মনে পড়লে যে আপনি মোবাইল, মানিব্যাগ অথবা অন্য প্রয়োজনীয় কিছু ফেলে এসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কি আর মেজাজ ঠান্ডা রাখা সম্ভব বলুন? এই পরিস্থিতিতে নিজের উপর তো রাগ হয়ই, সেই সঙ্গে পরিবারের উপর রাগ ঝাড়ার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।

অফিসে বসের কটূক্তি

সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার পরপরই যদি অফিসের বসের রুমে গিয়ে ঝাড়ি খেতে হয় তাহলে মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কোনো কাজের ভুলের জন্য অথবা দেরি করে আসার জন্য অফিসের বসের ঝাড়ি খেলে সারাটা দিনই কাজে কর্মে মন বসে না। আর সেই সঙ্গে মেজাজটা খিচড়ে থাকে সারাদিন।
 
Top