‘আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৪’-এর ‘চার ছক্কা হইহই’ এখন তুমুল
জনপ্রিয়। কীভাবে তৈরি হলো এই গান? ফুয়াদ আল মুক্তাদির শোনাচ্ছেন সেই গল্প
তিন ঘণ্টার অ্যাকশন সিক্সটিন সিক্সটিন
ক্রিকেট ক্রেজি নেশনস, হাউ এক্সাইটিং
স্টেডিয়াম ওয়েটিং, টেনশান টেনশান
ঢিং ঢিটাং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং
চার ছক্কা হইহই বল গড়াইয়া গেল কই...
তিন ঘণ্টার অ্যাকশন সিক্সটিন সিক্সটিন
ক্রিকেট ক্রেজি নেশনস, হাউ এক্সাইটিং
স্টেডিয়াম ওয়েটিং, টেনশান টেনশান
ঢিং ঢিটাং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং
চার ছক্কা হইহই বল গড়াইয়া গেল কই...
গানটা পরিচিত মনে হচ্ছে?
ভাবছেন কোথায় যেন শুনেছি!
কেন, ইউটিউবে! আরে এটা যে ‘আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৪’-এর অফিশিয়াল ইভেন্ট সং।
কেন, ইউটিউবে! আরে এটা যে ‘আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৪’-এর অফিশিয়াল ইভেন্ট সং।
গানটির অডিও ইউটিউবে শোনা যাচ্ছে গত শনিবার থেকে আর মিউজিক ভিডিওটি দেখা
যাচ্ছে রোববার থেকে। এরপর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে
গানটি। আইসিসির জন্য গানটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং
বাংলাদেশ। এই প্রতিষ্ঠানটির মতে, তরুণেরা গানটি খুব শুনছে।
‘আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৪’-এর অফিশিয়াল ইভেন্ট সং তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে, তাতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। এমন একটি গান কীভাবে তৈরি হলো? চলুন তা জানার জন্য আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা এখন যাচ্ছি বনানীতে, ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের স্টুডিওতে।
‘আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৪’-এর অফিশিয়াল ইভেন্ট সং তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে, তাতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। এমন একটি গান কীভাবে তৈরি হলো? চলুন তা জানার জন্য আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা এখন যাচ্ছি বনানীতে, ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের স্টুডিওতে।
তিনিই এই গানের অন্যতম সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। ফুয়াদ এমনিতেই দারুণ
ব্যস্ত। তার ওপর এখন আবার তাঁকে তৈরি করতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের
জন্য ‘আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৪’-এর স্বাগত সংগীত। সময় খুবই কম। সুর আর
সংগীত তৈরি হয়ে গেছে। এবার ফুয়াদকেই কণ্ঠ দিতে হবে। সঙ্গে থাকছেন কোনাল।
সোমবার দুপুরে আধা ঘণ্টার জন্য একটু আলাদা করে পাওয়া গেল ফুয়াদকে। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর জানালেন ‘চার ছক্কা হইহই’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই, কনা, এলিটা, জোহান, শান্ত, পূজা আর তাপস। গানের কথা লিখেছেন অনম বিশ্বাস ও রেফায়াত আহমেদ।
সোমবার দুপুরে আধা ঘণ্টার জন্য একটু আলাদা করে পাওয়া গেল ফুয়াদকে। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর জানালেন ‘চার ছক্কা হইহই’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই, কনা, এলিটা, জোহান, শান্ত, পূজা আর তাপস। গানের কথা লিখেছেন অনম বিশ্বাস ও রেফায়াত আহমেদ।
ফুয়াদ বললেন, ‘আমার সংগীতজীবনের সেরা ১০টি গানের প্রতিটি জনপ্রিয় হতে
মাস ছয়-সাতেক সময় লেগেছে। কিন্তু ‘চার ছক্কা হইহই’ গানটি জনপ্রিয় হয়েছে
মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে।’
গানটা ক্রিকেট নিয়ে। এবার শুনব ফুয়াদের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতার কথা। ‘বলছেন কী, খেলা তো দূরের কথা, কয়েক বছর আগেও ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না! বিপিএলে সিলেট রয়্যালস আর দুরন্ত রাজশাহীর থিম সং তৈরি করেছি আমি। এরপর এই দল দুটি খেলার সময় আমাকে কয়েকবার মাঠেও যেতে হয়েছিল। দেখতে দেখতে এখন কিছুটা বুঝি। এই যেমন—চার, ছক্কা, ওয়াইড বল, নো বল, আউট।’ বললেন ফুয়াদ।
গানটা ক্রিকেট নিয়ে। এবার শুনব ফুয়াদের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতার কথা। ‘বলছেন কী, খেলা তো দূরের কথা, কয়েক বছর আগেও ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না! বিপিএলে সিলেট রয়্যালস আর দুরন্ত রাজশাহীর থিম সং তৈরি করেছি আমি। এরপর এই দল দুটি খেলার সময় আমাকে কয়েকবার মাঠেও যেতে হয়েছিল। দেখতে দেখতে এখন কিছুটা বুঝি। এই যেমন—চার, ছক্কা, ওয়াইড বল, নো বল, আউট।’ বললেন ফুয়াদ।
বাংলাদেশের ছেলে, অথচ ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় নেই? ফুয়াদ বললেন, ‘আমি বড়
হয়েছি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ওখানে ফুটবল, বেসবল, বাস্কেটবল বেশি খেলা
হয়। এসব খেলাও কখনো খেলিনি। কারণ, খেলার ব্যাপারে আমার তেমন কোনো আগ্রহ
নেই। বাংলাদেশে আছি সাত বছর হলো। ইদানীং বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট খেলা দেখি।’
‘চার ছক্কা হইহই...’ গানের প্রসঙ্গ উঠতেই ফুয়াদ বললেন, ‘গানটা তৈরির
আগেই আমাকে জানানো হয়েছিল, এমন একটা গান তৈরি করতে হবে, যাতে এ দেশের সব
ধরনের মানুষ গানটিকে নিজের মনে করতে পারে। উৎসবের আবহ থাকতে হবে। ক্রিকেট
খেলা দেখার সময় সবার মনে যে উত্তেজনা কাজ করে, তার একটা প্রতিফলন যেন এখানে
থাকে। আমিও তেমনটাই চেষ্টা করেছি। সুর আর তালের দিকে ছিল আমার কড়া খেয়াল।
পুরো গানটা তৈরি করতে আমাদের সময় লেগেছে দুই সপ্তাহ। আইসিসি কর্তৃপক্ষ
গানটা একবার শোনার পরই ওকে করেছে। এটা আমার কাছে দারুণ মনে হয়েছে।’
গত ২৭ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এসেছিল ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি। এ উপলক্ষে তখন একটি গান তৈরি করা হয়—‘এসো শূন্যের মাঝে/ সুরে তালে মেতে উঠি সবাই...’। ওই গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন ফুয়াদ আল মোক্তাদির।
ফুয়াদ জানালেন, বিসিবির স্বাগত সংগীত ছাড়াও এখন তাঁর হাতে আছে একটি ছবির কাজ। নাম রাজা হ্যান্ডসাম। আর বিজ্ঞাপনের কাজ তো আছেই। এগুলো শেষ করে মার্চেই তিনি যাবেন নিউইয়র্কে।
গত ২৭ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এসেছিল ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি। এ উপলক্ষে তখন একটি গান তৈরি করা হয়—‘এসো শূন্যের মাঝে/ সুরে তালে মেতে উঠি সবাই...’। ওই গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন ফুয়াদ আল মোক্তাদির।
ফুয়াদ জানালেন, বিসিবির স্বাগত সংগীত ছাড়াও এখন তাঁর হাতে আছে একটি ছবির কাজ। নাম রাজা হ্যান্ডসাম। আর বিজ্ঞাপনের কাজ তো আছেই। এগুলো শেষ করে মার্চেই তিনি যাবেন নিউইয়র্কে।
ফুয়াদ বললেন, ‘ওখানে আছেন আমার মা আর ভাইয়া। তাঁদের কাছে যত দিন থাকি,
পুরোটা সময়ই ছুটির একটা মেজাজ থাকে। দেশে এলেই আবার মিউজিক মিউজিক মিউজিক।
সবাই গান শোনে রিলাক্স হওয়ার জন্য আর গান তৈরি আমার পেশা।’
গ্রামীণ আর শহুরে পটভূমির মিশেল
‘চার ছক্কা হইহই...’ গানটির মূল আকর্ষণ মিউজিক ভিডিও। কেমন হবে এর চেহারা? কাকে দেওয়া হবে তৈরির দায়িত্ব? গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের কাছে তখন একমাত্র পছন্দ আশিকুর রহমান। তিনি একজন পেশাদার সিনেমাটোগ্রাফার। এরই মধ্যে তৈরি করেছেন চলচ্চিত্র গ্যাংস্টার রিটার্ন। আর বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরির কাজ তো চলছেই। ‘চার ছক্কা হইহই...’ মিউজিক ভিডিও নিয়ে আশিকুর রহমানের অভিমত, এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের ‘রং ও সুখের জন্মভূমি’তে স্বাগত জানানো হয়েছে। চিত্রায়ণে রাখা হয়েছে গ্রামীণ আর শহুরে পটভূমির মিশেল। এখানে ফুটে উঠেছে ক্রিকেট কী করে সবাইকে একতাবদ্ধ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশের রূপবৈচিত্র্য, বন্ধুভাবাপন্ন উষ্ণ হূদয়ের মানুষের মুখও থাকছে।
‘চার ছক্কা হইহই...’ গানটির মূল আকর্ষণ মিউজিক ভিডিও। কেমন হবে এর চেহারা? কাকে দেওয়া হবে তৈরির দায়িত্ব? গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের কাছে তখন একমাত্র পছন্দ আশিকুর রহমান। তিনি একজন পেশাদার সিনেমাটোগ্রাফার। এরই মধ্যে তৈরি করেছেন চলচ্চিত্র গ্যাংস্টার রিটার্ন। আর বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরির কাজ তো চলছেই। ‘চার ছক্কা হইহই...’ মিউজিক ভিডিও নিয়ে আশিকুর রহমানের অভিমত, এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের ‘রং ও সুখের জন্মভূমি’তে স্বাগত জানানো হয়েছে। চিত্রায়ণে রাখা হয়েছে গ্রামীণ আর শহুরে পটভূমির মিশেল। এখানে ফুটে উঠেছে ক্রিকেট কী করে সবাইকে একতাবদ্ধ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশের রূপবৈচিত্র্য, বন্ধুভাবাপন্ন উষ্ণ হূদয়ের মানুষের মুখও থাকছে।
জানালেন, গানটির শিল্পী পান্থ কানাই, কনা, এলিটা, জোহান, শান্ত আর পূজা
তো ছিলেনই, তাঁদের সঙ্গে আরও ছিলেন তানজিলের ঈগলস ড্যান্স গ্রুপের
সদস্যরা।