যখন কিছুই মনের মতো হয় না কিংবা পাওয়া যায় না তখন মন খারাপ সবারই হয়ে থাকে। মন যার আছে তাঁর মন খারাপ হরহামেশাই হবে। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হতাশা আর মন খারাপ কি একই জিনিস? অবশ্যই নয়। হতাশা একটি মানসিক রোগ। যে কোনো বয়সেই হতাশা মানুষকে গ্রাস করতে পারে। তবে সাধারণত উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদেরই এ রোগে ভোগার পরিমাণ বেশী। এ বয়সে মানুষের স্বপ্নের পরিধি থাকে বিশাল আর তা ভেঙে গেলে সেই মানসিক চাপ নেবার ক্ষমতা অধিকাংশ তরুণ-তরুণীদেরই থাকে না।
আপনার টিনএজার সন্তানটিও কি হতাশায় ভুগছে? কিছু লক্ষণ দেখলে সহজেই বোঝা সম্ভব আপনার সন্তানটি হতাশায় হাতড়াচ্ছে কিনা। জেনে নিন তরুণ-তরুণীদের মাঝে হতাশার লক্ষণ-
  • - সারাক্ষণই মন খারাপ থাকা এবং নিজেকে অসহায় মনে করা
  • -রাগের পরিমাণ মাত্রারিক্ত বেড়ে যাওয়া
  • - নিজেকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেওয়া
  • -আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
  • -সবকিছু থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলা
  • - ওজন হ্রাস পাওয়া
  • -ঘুম ও খাবারের অভ্যাসে পরিবর্ত‌ন
  • - নিজেকে সবসময়ই ক্লান্ত অনুভব করা
  • -সেলফ ডিসট্রাকটেড ও আত্মহত্যার চিন্তা সর্ব‌ক্ষণ করা
উপরোক্ত লক্ষণগুলো যদি কারো মধ্যে দেখা যায় তবে নিঃসন্দেহে সে হতাশা রোগে আক্রান্ত। তবে এর মধ্যে যে কোনো একটি/দুটি লক্ষণ দেখা গেলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। হতাশার আরও অনেক চিহ্ন রয়েছে, তবুও এই লক্ষণগুলোই যথেষ্ট হতাশা পরিমাপের জন্য। আপনার সন্তানটি যদি হতাশাগ্রস্ত হয়ে থাকে অবশ্যই তাকে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। এ রোগটি কোনো উপেক্ষা করার বিষয় নয়। যদি তার যথাযথ চিকিৎসা না হয় তাহলে এর ফলাফলটাও যথেষ্ট ভয়াবহ হতে পারে! যেমন-
  • - পড়াশুনা ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া
  • -সবার সাথে সঠিক সম্পর্ক‌ বজায় রেখে চলতে না পাড়া
  • - যৌনতা বিষয়ক সমস্যা
  • -সর্বো‌পরি যে কোনো সময় আত্মহত্যার মতো ধ্বংসাত্মক কর্ম‌কান্ডে লিপ্ত হওয়া
একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ কখনোই সবার মতো সুস্থভাবে জীবন পরিচালনা করতে পারে না। এ সময়ে অবশ্যই তার মানসিক কাউন্সিলিং প্রয়োজন। যদি আপনার সন্তানটিকে হতাশাগ্রস্ত আবিষ্কার করেন তাহলে তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো আপনারই দায়িত্ব। দয়া করে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না।
 
Top