গতকাল ছিল এদেশের অন্যতম বিখ্যাত ও জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত জলিলের জন্মদিন। তাঁর ভক্ত ও গুণগ্রাহীর যেমন অভাব নেই কোনো, তেমনই অভাব নেই তাঁকে নিয়ে সমালোচনা করার মানুষেরও। জলিলের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে যেমন রসিকতার ফোয়ারা ছোটায় অনেকে, তেমনই বর্ষার সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও গুজব গুঞ্জন কম নেই। তবে তাতে কি! কেননা কেউ এটাও অস্বীকার করতে পারবেন না যে বাংলা সিনেমার জন্য নিবেদিত প্রাণ এই মানুষটি আক্ষরিক অর্থেই চেষ্টা করছেন সিনেমার জগতে একটি অভূতপূর্ব উন্নতি সাধনের।
অনন্ত জলিল, Ananta Jalil
অনন্ত জলিলের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানা যায় অনেক কম। যেমন তিনি কত সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তা একটি রহস্য! তাই আজ আমরা নিয়ে এলাম তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এমন কিছু তথ্য, যেগুলো আপনি আগে জানতেন না!
(১)অনন্ত জলিল মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে ওঠে ঢাকার শুক্রাবাদে।
(২)মাত্র পাঁচ বছর বয়সে এই অভিনেতার মা মারা যান এবং তখন থেকেই বাবা ও এক ভাইকে নিয়ে তার সংসার।
(৩)অনন্ত জলিলের ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাদের ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখা ভালো যে এই তারকা ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ‘এ’এবং ‘ও’ লেভেল পাশ করার পাশাপাশি বিবিএ এবং পরবর্তীতে ম্যানচেস্টারের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে কোর্স করেন।
(৪)অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ৩টি এতিমখানা করেছেন। মিরপুর ১০ নং , বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল।
(৫)এম এ জলিল অনন্তর পূর্ব পরিচয় হলো, তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ১৯৯৯ সাল হতে তিনি এজেআই গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজারের পদে কাজ করে আসছেন। সাভারের হেমায়েতপুরে বিশাল জায়গা জুড়ে তিনি গড়ে তুলেছেন এজেআই গ্রুপ।
(৬) প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি কাজ তিনি নিজ হাতে তদারকি করেন। প্রতিটি পণ্য তিনি নিজে দেখেন এবং এর পরেই তা বাজারজাত করা হয়।
(৭) শ্রমিকদের সুবিধা অসুবিধা তাকে বুঝিয়ে বললে তিনি কখনই ফিরিয়ে দেন না তাদেরকে। ফ্যাক্টরির শ্রমিকদেরকে প্রতিদিন নাস্তার জন্য ২৫ টাকা করেও বরাদ্দ করে দিয়েছেন এই নায়ক। শুধু তাই নয়, রোগশোকে সবসময় শ্রমিকদের সহায়তা করে থাকেন তিনি।
(০৮) প্রথম সিনেমা "খোঁজ- দ্যা সার্চ" তেমন ব্যবসা সফল না হলেও পরবর্তীতে ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’ এবং ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
(৯) ধারণা করা হয় এই তারকার ব্যক্তিগত জীবনের আলোকেই তৈরি করা হয়েছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সিনেমাটি।
(১০) স্ত্রী এবং সহ অভিনেত্রী বর্ষার হাতে রান্না করা পায়েশ খেতে খুবই ভালোবাসেন এই তারকা।
(১১) ব্যবসায়ী হলেও প্রকৃত জীবনে বেশ রোমান্টিক অনন্ত জলিল। একটি অনুষ্ঠানে সাবাইকে তাক লাগিয়ে বর্ষার উদ্দেশ্যে গানও করেন এই নায়ক।
(১২) ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দয়ালু এই অভিনেতা। তার কাছে এসে কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা যায়নি। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
(১৩) সুদর্শন এই হিরো লম্বায় ৫.৭ ফিট এবং ওজন ৭২ কেজি।
(১৪) আপাদমস্তক এই ব্যবসায়ী ২০০৮ সালে ঠিক করেন যে সিনেমা তৈরি করবেন এবং সেই লক্ষ্যেও নেমে যান। স্থাপন করেন মুনসুন ফিল্মস প্রোডাকশন।
 
Top