আশি দশকের যে কজন সঙ্গীতশিল্পী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে এলভিস
প্রিসলি অন্যতম। খুব অল্প সময়েই আমেরিকার সঙ্গীত ভুবনে নিজের আলাদা স্থান
করে নেন। কিন্তু মাত্র ৪২ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন ‘দ্য কিং অব
রক অ্যান্ড রোল’খ্যাত মার্কিন গায়ক, সংগীত পরিচালক ও অভিনেতা এলভিস
প্রিসলি।
তাঁর অকালমৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ধারণা করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয় এ তারকা সংগীতশিল্পী। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন প্রিসলি।
অ্যাডলফ হিটলার, মেরিলিন মনরো, চার্লস ডারউইন, জন এফ কেনেডিসহ একাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিকে নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক প্রামাণ্যচিত্র ‘ডেড ফেমাস ডিএনএ’ সপ্তাহের প্রতি বুধবার প্রচারিত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর টিভিতে। সম্প্রতি প্রচারিত ‘ডেড ফেমাস ডিএনএ’-এর প্রথম পর্বে এলভিস প্রিসলির মৃত্যুরহস্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রিসলিকে নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতারা জানিয়েছেন, প্রিসলির চুল কাটতেন যে নাপিত তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে প্রিসলির চুল কেনা হয় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য। পরে প্রিসলির ডিএনএ পরীক্ষা করেন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস শহরে অবস্থিত চিলড্রেনস মার্সি হাসপাতালের দ্য সেন্টার ফর পেডিয়াট্রিক জেনোমিক মেডিসিনের পরিচালক স্টিফেন কিংসমোর। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রিসলির মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে স্টিফেন কিংসমোর জানিয়েছেন, এলভিস প্রিসলির পরিবারে হূদরোগের ইতিহাস রয়েছে। এ ছাড়া আকস্মিকভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তিনি। ময়নাতদন্তের ফলাফলেও তাঁর হূদযন্ত্রের ত্রুটি ধরা পড়েছিল। প্রিসলির ডিএনএ পরীক্ষার পর একটি ত্রুটিপূর্ণ জিন শনাক্ত করা হয়েছে যার কারণে হূদযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে।
কিংসমোর আরও জানিয়েছেন, এটা ঠিক যে জীবনের শেষদিনগুলোতে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রিসলি। খাদ্য গ্রহণের ওপরও তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। প্রচুর খাবার খেতেন তিনি। তার পরও তাঁর মৃত্যুর জন্য মাদক সেবন কিংবা মাত্রাতিরিক্ত খাবার গ্রহণকে দায়ী করা ঠিক হবে না। কারণ, পারিবারিকভাবেই তিনি ত্রুটিযুক্ত জিন পেয়েছিলেন যার প্রভাবে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।
সূত্র:দ্য গার্ডিয়ান
তাঁর অকালমৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ধারণা করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয় এ তারকা সংগীতশিল্পী। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন প্রিসলি।
অ্যাডলফ হিটলার, মেরিলিন মনরো, চার্লস ডারউইন, জন এফ কেনেডিসহ একাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিকে নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক প্রামাণ্যচিত্র ‘ডেড ফেমাস ডিএনএ’ সপ্তাহের প্রতি বুধবার প্রচারিত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর টিভিতে। সম্প্রতি প্রচারিত ‘ডেড ফেমাস ডিএনএ’-এর প্রথম পর্বে এলভিস প্রিসলির মৃত্যুরহস্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রিসলিকে নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতারা জানিয়েছেন, প্রিসলির চুল কাটতেন যে নাপিত তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে প্রিসলির চুল কেনা হয় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য। পরে প্রিসলির ডিএনএ পরীক্ষা করেন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস শহরে অবস্থিত চিলড্রেনস মার্সি হাসপাতালের দ্য সেন্টার ফর পেডিয়াট্রিক জেনোমিক মেডিসিনের পরিচালক স্টিফেন কিংসমোর। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রিসলির মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে স্টিফেন কিংসমোর জানিয়েছেন, এলভিস প্রিসলির পরিবারে হূদরোগের ইতিহাস রয়েছে। এ ছাড়া আকস্মিকভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তিনি। ময়নাতদন্তের ফলাফলেও তাঁর হূদযন্ত্রের ত্রুটি ধরা পড়েছিল। প্রিসলির ডিএনএ পরীক্ষার পর একটি ত্রুটিপূর্ণ জিন শনাক্ত করা হয়েছে যার কারণে হূদযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে।
কিংসমোর আরও জানিয়েছেন, এটা ঠিক যে জীবনের শেষদিনগুলোতে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রিসলি। খাদ্য গ্রহণের ওপরও তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। প্রচুর খাবার খেতেন তিনি। তার পরও তাঁর মৃত্যুর জন্য মাদক সেবন কিংবা মাত্রাতিরিক্ত খাবার গ্রহণকে দায়ী করা ঠিক হবে না। কারণ, পারিবারিকভাবেই তিনি ত্রুটিযুক্ত জিন পেয়েছিলেন যার প্রভাবে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।
সূত্র:দ্য গার্ডিয়ান