বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী যুগের নায়িকা ছিলেন শাবানা। এক সময়ের
জনপ্রিয় মেধাবী অভিনেত্রী, বিউটি কুইন খ্যাত শাবানা এখন আর পর্দায় নেই।
কিন্তু দর্শকদের হৃদয়ে ঠিকই আছেন তিনি। মাত্র নয় বছর বয়সে ১৯৬২ সালে ‘নতুন
সুর’ ছবিতে ছোট্ট মেয়ের চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শাবানার চলচ্চিত্রে
আগমন। শাবানা রত্না নামে ‘নতুন সুর’ ছবিতে অভিনয়ের পর তালাশ, সাগর, ভাইয়া
সহ আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেন।
১৯৬৬ সাল থেকে নতুন পরিচয়ে সবার সামনে এলেন বিউটি কুইন শাবানা। কারণ সে বছরই ‘বনবাসে রূপবান’-এ সোনাভানের চরিত্রে নায়িকা হিসাবে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। এরপর ‘চকোরি’ এবং ‘জংলি মেয়ে’ ছবি দুটিতে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১৯৬৭ সালে চকোরি রিলিজের পর থেকে শাবানার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল ঢাকার বাইরে লাহোর ও করাচীতে। ১৯৬৮ সালে নায়িকা হিসেবে চাঁদ আওর চাঁদনি, ভাগ্যচক্র এবং কুলি’তে, ১৯৬৯ সালে দাগ, মুক্তি, ১৯৭০ সালে পায়েল, সমাপ্তি, ছদ্মবেশী, বাবুল, মধুর মিলন ও একই অঙ্গে এত রূপ সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেন। সেসময় রাজ্জাক-সুচন্দা জুটির অসম্ভব জনপ্রিয়তার সময় কাজী জহিরের ‘মধুমিলন’ এর অভিনয় দেখে দর্শকরা প্রশংসা ধন্য হলেন শাবানা। দ্বৈত অনুরাগের সংঘাত ও পরিণতির উপর ভিত্তি করে নির্মিত এ ছবি দর্শকের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
শাবানা নিজে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘আমার তো মনে হয় ‘মধুমিলন’ ছবিতে
সম্ভবত প্রথম হৃদয়ষ্পর্শী অভিনয় দেখাতে সক্ষম হয়েছিলাম।‘ স্বাধীনতার পর
আবার ছবি নির্মাণ শুরু হল। শাবানা আগের জনপ্রিয়তা নিয়ে ১৯৭২ সালেই ৮টি ছবির
নায়িকা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘ওরা এগার জন’ আর কাজী জহিরের ‘অবুঝ
মন’ করে সারা বাংলাদেশের দর্শকরা জেনে গেল শাবানার তুলনা হয় না। ঢাকার
চলচিত্রে শাবানা একাই একশ। শাবানা মোট ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ
করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি প্রথম এই পুরস্কার পান ‘জননী’ সিনেমার জন্য। এরপর
১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৪ সালে তিনি জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে আছে ১৯৮২ সালে
নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে বাচসাস পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে আর্ট
ফোরাম পুরস্কার ও সায়েন্স ক্লাব পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে ললিতকলা একাডেমী
পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে কামরুল হাসান পুরস্কার, ১৯৮৮ সালে নাট্যসভা পুরস্কার,
১৯৮৯ সালে কথম একাডেমী পুরস্কার, ১৯৯১ সালে প্রযোজক সমিতি পুরস্কার এবং
জাতীয় যুব সংগঠন পুরস্কার।
শাবানা ১৯৭৩ সালে ওয়াহিদ সাদিককে বিয়ে করেন। ১৯৯৭ সালে শাবানা দীর্ঘ ৩৪ বছর কাজ শেষে হঠাৎ চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি আর নতুন কোন ছবিতে অভিনয় করেননি। ২০০০ সালে তিনি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এককালের ঢাকার চলচ্চিত্রের বিউটি কুইন খ্যাত শাবানা এখন পরিপূর্ণভাবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে জীবন যাপন করছেন।
এখন তার দেখা পাওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে তো বটেই কোনো সাংবাদিকের পক্ষেও প্রায় অসম্ভব। স্বামী এবং ২ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে সুখেই আছেন। তবে কী দূর প্রবাসে স্বামী, সংসার আর সন্তানদের নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন বাংলার শাবানা? এমন প্রশ্ন শাবানা ভক্তদের। দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকুক কোটি দর্শকের স্বপ্নের নায়িকা বিউটি কুইন শাবানা। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তার বাবা ফয়েজ চৌধুরী চিত্র পরিচালক ছিলেন। যদিও গত ২-১ বছর হঠাৎ করেই জানা গিয়েছিল শাবানা ও তার স্বামী যৌথভাবে সিনেমা প্রযোজনা করবেন, কিন্তু এটা এখন পর্যন্ত জল্পনা-কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে।
১৯৬৬ সাল থেকে নতুন পরিচয়ে সবার সামনে এলেন বিউটি কুইন শাবানা। কারণ সে বছরই ‘বনবাসে রূপবান’-এ সোনাভানের চরিত্রে নায়িকা হিসাবে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। এরপর ‘চকোরি’ এবং ‘জংলি মেয়ে’ ছবি দুটিতে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
১৯৬৭ সালে চকোরি রিলিজের পর থেকে শাবানার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল ঢাকার বাইরে লাহোর ও করাচীতে। ১৯৬৮ সালে নায়িকা হিসেবে চাঁদ আওর চাঁদনি, ভাগ্যচক্র এবং কুলি’তে, ১৯৬৯ সালে দাগ, মুক্তি, ১৯৭০ সালে পায়েল, সমাপ্তি, ছদ্মবেশী, বাবুল, মধুর মিলন ও একই অঙ্গে এত রূপ সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেন। সেসময় রাজ্জাক-সুচন্দা জুটির অসম্ভব জনপ্রিয়তার সময় কাজী জহিরের ‘মধুমিলন’ এর অভিনয় দেখে দর্শকরা প্রশংসা ধন্য হলেন শাবানা। দ্বৈত অনুরাগের সংঘাত ও পরিণতির উপর ভিত্তি করে নির্মিত এ ছবি দর্শকের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
শাবানা ১৯৭৩ সালে ওয়াহিদ সাদিককে বিয়ে করেন। ১৯৯৭ সালে শাবানা দীর্ঘ ৩৪ বছর কাজ শেষে হঠাৎ চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি আর নতুন কোন ছবিতে অভিনয় করেননি। ২০০০ সালে তিনি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এককালের ঢাকার চলচ্চিত্রের বিউটি কুইন খ্যাত শাবানা এখন পরিপূর্ণভাবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে জীবন যাপন করছেন।
এখন তার দেখা পাওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে তো বটেই কোনো সাংবাদিকের পক্ষেও প্রায় অসম্ভব। স্বামী এবং ২ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে সুখেই আছেন। তবে কী দূর প্রবাসে স্বামী, সংসার আর সন্তানদের নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন বাংলার শাবানা? এমন প্রশ্ন শাবানা ভক্তদের। দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকুক কোটি দর্শকের স্বপ্নের নায়িকা বিউটি কুইন শাবানা। তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তার বাবা ফয়েজ চৌধুরী চিত্র পরিচালক ছিলেন। যদিও গত ২-১ বছর হঠাৎ করেই জানা গিয়েছিল শাবানা ও তার স্বামী যৌথভাবে সিনেমা প্রযোজনা করবেন, কিন্তু এটা এখন পর্যন্ত জল্পনা-কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে।